নড়াইলে অদক্ষ জনবল দিয়ে চলছে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা কার্যক্রম। ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠা এ সব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক্স-রে করার নেই কোন টেকনোলজিস্ট। নীতি মালায় রয়েছে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার ক্ষেত্রে কম পক্ষে ১ জন টেকনোলজিস্ট ও ২ জন টেকনিশিয়ান আবশ্যক।

অথচ নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে বছরের পর বছর অদক্ষ জনবল দিয়ে পরিচালনা করা হচ্ছে নড়াইলের একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তথ্য-অনুসন্ধানে যায়,নড়াইল সদর হাসপাতাল চত্বরে গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ গড়ে উঠেছে অসংখ্য ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতিদিন শত শত রোগী রোগ নির্ণয় করার জন্য যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, ৮০ ভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নেই কোনো মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। এমনকি

। নামমাত্র টেকনিশিয়ান দ্বারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো।
অধিকাংশ ল্যাবে পিয়ন, আয়া, মাসি দিয়ে এক্স–রে, ইসিজি, রক্ত সংগ্রহ ও টেকনিশিয়ান দ্বারা প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, সেরোলজি ও হরমোনের কাজ করা হচ্ছে। যাদের নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা।অথচ এসব যেন দেখার কেউ নেই।

কথা হয় গ্রীন লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্বাহী পরিচালক পলাশ মন্ডলের সাথে তিনি এ প্রতিবেদকে জানান, আমার এখানে অমিত,সুমা নামে ২ জন কাজ করেন। টেকনোলজিস্ট ও টেকনেশিয়ান কাদের বলে আমি ভাল বুঝি না। জেনে আপনাদের জানাবো। বাস্তবে এ প্রতিষ্ঠানে কোন টেকনোলজিস্ট নেই।

অপর দিকে মোবাইল ফোনে কথা হয় বাংলাদেশ প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি ও মল্লিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক বিদ্যুৎ কুমার সার্নালের সাথে। তিনি জানান আমার প্রতিষ্ঠানে কোন এক্স-রে টেকনোলজিস্ট নেই। ২ জন টেকনিশিয়ান রয়েছে। তাদের কোন সার্টিফিকেট নেই। আমার ব্যাক্তিগত সার্টিফিকেট দিয়ে তারা কাজ পরিচালনা করছে।
এ বিষয়ে নড়াইল সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার বলেন, যে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার টেকনোলজিস্ট ও টেকনিশিয়ান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে । তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রশাসন যদি একটু কঠোর হয়, তাহলে হয়তো ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো এভাবে আর মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ছাড়া কাজ চালাতে পারবে না। এ ভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালিত হলে মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে বলে মনে করছে সচেতন মহল।

“”” নড়াইলে যে সকল ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ অদক্ষ জনবল দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালিত হচ্ছে তার ধারাবাহিক প্রতিবেদনে চোখ রাখুন “””